সন্তানের কাশি হলে মা-বাবা ঘাবড়ে যান। চিকিৎসক না দেখিয়েই অনেকে কাশি কমানোর ওষুধ কিনে আনেন। কাশি দেহযন্ত্রের এক প্রতিরোধমূলক প্রক্রিয়া। শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করা বাইরের ধুলাবালি কাশি বা কফের মাধ্যমেই বাইরে বেরিয়ে আসে। তাই কাশি সব সময়ই যে খারাপ, তা নয়। তবে কাশি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, সঙ্গে জ্বর বা অন্যান্য উপসর্গ থাকে, তাহলে উদ্বেগের কারণ অবশ্যই আছে।
* বয়সভেদে শিশুর কাশির নানা কারণ থাকতে পারে। হৃদ্যন্ত্র ও শ্বাসনালি বা খাদ্যনালিতে জন্মগত ত্রুটি ছোট্ট শিশুর কাশির অন্যতম কারণ। হাঁপানি বা ব্রঙ্কিওলাইটিসের কারণেও শিশুদের কাশি হয়।
* বেশির ভাগ স্বল্পমেয়াদি ও তীব্র কাশির জন্য নানা রকমের সংক্রমণ দায়ী।
* শিশুদের মারাত্মক কানপাকা অসুখেও তীব্র কাশি হয়। তীব্র বা দীর্ঘমেয়াদি কাশিসহ নিউমোনিয়া কখনো কখনো প্রকাশ পায়।
* এ ধরনের কাশি সাধারণত রাতে বাড়ে। ভাঙা ভাঙা কর্কশ কাশি সাধারণভাবে ‘ক্রুপ’ নামের অসুখের প্রধান লক্ষণ।কারণ না বুঝে সরাসরি কাশি কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া যুক্তিসংগত নয়। শিশুদের কাশি বা কফ হলে সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ না দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী
বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ

(0)

এমনই এক প্রশ্নের উত্তরে ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী বলেন

যখনই মনে হবে ডায়াপার প্রস্রাব-পায়খানার কারণে ভিজে গেছে বা শিশু অস্বস্তি বোধ করছে, তখনই পাল্টে দিতে হবে। ভেজা ডায়াপার পরা থাকলে শিশুর শরীরে ফুসকুড়ি বা র্যাশ হতে পারে। তাই রাতে ডায়াপার পরিয়ে রাখলেও মাঝে মাঝে সেটার অবস্থা দেখতে হবে বা শিশু উসখুস করলে পাল্টে দিতে হবে।

ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী
শিশুরোগ বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ 

(0)